রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ০৯:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জগন্নাথপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমীক ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম সুনামগঞ্জে সাহিত্য সংসদ গণপাঠাগারের রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন শান্তিগঞ্জে জোরপূর্বক জায়গা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন জগন্নাথপুরে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযানে নিষিদ্ধ  ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার জগন্নাথপুরের কলকলিয়া ইউনিয়ন  বিএনপির কর্মীসভা; ত্যাগী দের নিয়ে কমিটি গঠনের আহবান দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া ঈদুল আজহায় ১০ দিন ছুটি ঘোষণা পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি দ্রুত স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন শান্তিগঞ্জে কার্ল মার্কস’র জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা সভা দেশে ৫ শতাধিক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি, ব্যবস্থা নিচ্ছে ইসি

পাত্রীর জন্য হাহাকার

পাত্রীর জন্য হাহাকার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: ইতিহাসে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল, সরকারের ডিক্রি ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রযুক্তির সমন্বয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দুটি দেশের চিত্র পাল্টে গেছে। সেখানে দেখা দিয়েছে লিঙ্গগত অসমতা। অর্থাৎ নারী ও পুরুষের সংখ্যায় মারাত্মক হেরফের হয়েছে। এ দুটি দেশ হলো চীন ও ভারত। এ দুটি দেশে নারীদের তুলনায় পুরুষের আনুপাতিক সংখ্যা ৭ কোটি বেশি।
এত বেশি পুরুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেখানে মারাত্মক এক সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। উঠতি যুবক বা বিয়ের বয়সী যুবক পাত্রী পাচ্ছেন না। এর ফলে তাদের অনেককে একাকীত্ব বরণ করতে হচ্ছে। পতিতাবৃত্তির হার ও স্থান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর পরিণতি হিসেবে শুধু যে চীন বা ভারত ভুগছে তাই নয়। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোতে। সিয়ান জিয়াওতোং ইউনিভার্সিটির জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ লি শুঝুউ বলেন, অদূর ভবিষ্যতে লাখ লাখ পুরুষকে অবিবাহিত জীবন কাটাতে হবে। এতে সমাজের ওপর বড় রকম একটি ঝুঁকি তৈরি হবে। চীনের বর্তমান জনসংখ্যা ১৪০ কোটি। এর মধ্যে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা কমপক্ষে ৩ কোটি ৪০ লাখ বেশি। এ সংখ্যা পুরো ক্যালিফোর্নিয়া বা পোল্যান্ডের জনসংখ্যার সমান। এসব মানুষ অর্থাৎ ৩ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ কোনোদিন বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজে পাবে না। আর শারীরিক ক্ষুধা মেটানো তো দূরের কথা। এর ফলে তারা খুঁজতে থাকে নিষিদ্ধ পল্লী। সেখানে শারীরিক ক্ষুধা মিটাতে গিয়ে তারা এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আবার প্রতিবেশী কোনো দেশে গিয়ে সেখানে মনের মানুষ খুঁজে নিতে পারে। কিন্তু ঝুঁকি সব ক্ষেত্রেই আছে। চীনে দ্রুতগতিতে বর্ধনশীল জনসংখ্যার রেশ টেনে ধরতে ১৯৭৯ সালে সেখানে ওয়ান চাইল্ড পলিসি বা এক শিশু নীতি গ্রহণ করা হয়। তা ১৯৭৯ সালে কার্যকর হয়ে অব্যাহত থাকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এ সময়ে কোনো দম্পতিকে একের অধিক সন্তান নিতে অনুমোদন দেয়া হয় নি। ফলে কোনো দম্পতি সন্তানের পিতামাতা হওয়ার আগে গর্ভস্থ শিশু ছেলে নাকি মেয়ে তা জেনে নেয়ার চেষ্টা করে। যদি তারা দেখতে পান গর্ভস্থ শিশু একটি কন্যা শিশু তাহলে গর্ভপাত করা হয়েছে। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। কারণ, মেয়ে শিশুকে সেখানে ভাল চোখে দেখা হয় না। অভিভাবকরা মনে করেন, ছেলে শিশু হলে সে তাদের ভবিষ্যত দেখবে। এ জন্য কন্যা শিশুকে গর্ভপাত করে ফেলে দেয়া হয়। এর ফল হিসেবে সেখানে কন্যা শিশুর সংখ্যা দ্রুত কমতে থাকে। বাড়তে থাকে ছেলে সন্তানের সংখ্যা। ভারতেও একই রকম প্রবণতা বিদ্যমান। সেখানেই মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশু বা সন্তানকে পছন্দ করা হয়। সাম্প্রতিক জরিপগুলো বলছে, ভারতে নারীর তুলনায় পুরুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৭০ লাখ বেশি। ছেলে সন্তানের চেয়ে মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়ার প্রবণতা একেবারেই কমে গেছে, যদিও ভারত অধিকতর উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ। এর ফলে ভারতেও অবিবাহিত পুরুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর ফলে ঘটছে মানবপাচার। সেটা ঘটছে নারীর লোভ দেখিয়ে। আবার কখনো পতিতাবৃত্তির লোভ দেখিয়ে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে অভিভাবকরা আগেই সন্তানের পরিচয় জেনে যান। এর ফলে তারা কন্যা শিশুর ভ্রুণকে হত্যা করেন। এই ধারা সেখানে ব্যাপকতা লাভ করেছে। ভারত ও চীন মিলে নারীর তুলনায় ২০ বছরের নিচে বয়সী পুরুষের সংখ্যা ৫ কোটিরও বেশি। ফলে তাদের কপালে মেয়ে জুটবে তো!
চলমান

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.

© All rights reserved © 2017-2023 Jagannathpurnews.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com